শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৯

বর্ষশেষের গল্পবৈঠক ২৯


৪২৫  বাংলা বর্ষশেষের দিনটিতে সাহিত্যিক শ্রীমতী সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিউটাউনের গৃহে তাঁর আন্তরিক আতিথ্যে জমে উঠেছিল উনত্রিশতম গল্প বৈঠকের আসর।শুরুতে রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুরমূর্ছনায় আসরের মূল সুরটি বেঁধে দেন সুগায়িকা শ্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর একে একে গল্প ও কবিতাপাঠে বৈঠকী মেজাজটি জমে ওঠে।

সেদিনের স্বরচিত গল্পপাঠে ছিলেন ন'জন। পূর্বা মুখোপাধ্যায়, দ্বৈতা গোস্বামী,সাবিনা ইয়াসমিন,মহুয়া মল্লিক,দীপা চ্যাটার্জী,সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায়, যশোধরা রায়চৌধুরী, ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়,ও সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টানটান গল্প ‘আফটারম্যাথ’, সাবিনা ইয়াসমিনের ‘আহারে জীবন’, ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের ‘ব্যাভিচারিনী’, মহুয়া মল্লিকের ‘শঙ্খলাগা’, পূর্বা মুখোপাধ্যায়ের ‘বীরত্ব’,সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জননী’,আর যশোধরা রায়চৌধুরীর ‘তরিবৎ’ যেন এই পরিবর্তিত সময়ের সমাজজীবনের নানা রূপ,নানা মুখ নিয়ে গড়ে ওঠা বিচিত্র সব সম্পর্কের রূপকথা। সেদিনের গল্পপাঠের আসরে হঠাত উপস্থিত দ্বৈতা গোস্বামীর ‘প্রবোধবাবুর বাবা’ বা দীপা চ্যাটার্জীর ‘শ্রীময়ী আদর সমীরণ’ ছিল রম্যগল্পের সার্থক পরিবেশন।

পরিবেশটি আরো সমৃদ্ধ হয় কবি সুতপা সেনগুপ্ত, কাবেরী গোস্বামী এবং বুবুন চট্টোপাধ্যায়ের একাধিক কবিতাপাঠে। গল্পের ফাঁকে ফাঁকে তাদের কবিতাপাঠ খোলা জানলার মুক্ত বাতাসের স্নিগ্ধতা বয়ে আনে।

সবমিলিয়ে এবছরের শেষ গল্পবৈঠকটি যেন আগামী বছরের নতুন কলমে নতুন কালির শুভ সংযোজন হয়ে উঠল।   

প্রতিবেদনঃঃ সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায়