কারা ?


গল্পপাঠের এই আসর 'গল্পবৈঠক' হয়ে ওঠার দিনগুলো বেশ গুরুগম্ভীর কারণে শুরু হলেও, ব্যাপারটা এমন নয় যে আমারা হাস্য রসে উদাসীন । আসলে মানুষ মনের হাস্যরস, মনন, আনন্দ, দু:খ, হঠাত্‍ হওয়া উদাসীনতা ইত্যাদি সবই আমাদের কলমের পরিচর্যার বিষয় । যদিও আমরা কলমের সৃষ্টিতেই থামছি না । বরঞ্চ শুরু করছি । কারণ নামটা যে গল্পবৈঠক । অর্থাত্‍ কলমের সৃষ্টির একটি শব্দরূপ তৈরির চেষ্টা শুরু হয়েছে । ব্যাপারটা একটু জটিল, বিশেষ করে যখন অনেক মানুষ সে সব শুনতে কষ্ট করে এসে জড় হন। উচ্চারণরীতি, যন্ত্রানুসংগের প্রয়োগ, দর্শক মানসে কৌতুহল তৈরি ও যথোপযুক্ত ভাবে গোটা গল্পটির সময়মাফিক সমাপ্তি টেনে শ্রোতাকে সন্তুষ্ট করা নেহাত ছেলে খেলা নয় ।



আজ আমরা গল্প বৈঠকে যা করছি সে বিষয়ে দানা বাঁধা বেশ কষ্ট কর। প্রথমত: গল্প গুলি মৌলিক ও সম্পুর্ন ভাবে নিজের হতে হয়। ফলে রচনার মান হতে হবে খুব উঁচু। তারপর রপ্ত করতে হয় সংশ্লিষ্ট নানান দিক যাতে মূল পরিবেশনাটি হয় টানটান ও রুচিশীল। 


আরেকটা ব্যাপার। নিজের লেখা গল্পের চরিত্রগুলি বা আবেগ লেখক যতটা বুঝে পাঠ করেন সেটা মাথায় রেখেই আমাদের এই গল্পপাঠের আসর। কারণ বেশীর ভাগ সময়েই বাচিক শিল্পীদের পরিশীলিত কন্ঠে গল্পপাঠ শোনা যায়। তাঁদের কন্ঠের যাদুতে তা হয়ে ওঠে মনোরম কিন্তু ক্রেডিটের বেশীটাই কিন্তু গল্পের স্রষ্টার প্রাপ্য। অনেকক্ষেত্রেই তাঁরা লেখকের নামটিও করেন না। আমরা চাই লেখকের নিজের কন্ঠে উত্তম পরিবেশনা। তাই এই গল্পপাঠ যার নাম গল্পবৈঠক।   



এ যাবত গল্পবৈঠকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাঁরা স্বরচিত ছোটগল্প পাঠ করেছেন তাঁরা হলেন  

অয়ন চৌধুরী, বরেন দাস, রজতশুভ্র ব্যানার্জি, অতনু প্রজ্ঞান বন্দ্যোপাধ্যায়, ইন্দ্রনীল বক্সী, সরোজ দরবার, অভ্র পাল, মহুয়া মল্লিক, জয়া চৌধুরী, নিবেদিতা ঘোষ মার্জিত, কৃষ্ণা রায়, শাশ্বতী নন্দী, শাশ্বতী সরকার, গার্গী রায়চৌধুরী, বুবুন চট্টোপাধ্যায়, যশোধরা রায় চৌধুরী, শর্মিষ্ঠা ঘোষ, সোনালী, পূর্বা মুখোপাধ্যায়, জয়তী অধিকারী, তৃষ্ণা বসাক, মহাশ্বেতা রায়,  নন্দিতা ভট্টাচার্য , ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় প্রমুখ গল্পকারেরা
।