সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৭

"মিতালি"র আয়োজনে ষোড়শ গল্পবৈঠকে কিশোর গল্পপাঠ এবং লাইব্রেরী উদ্বোধন




ক্ষিণ কলকাতার কালিকাপুরের অক্সফোর্ড স্কুলের আঙিনায় বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মিতালি-র আহ্বানে অনুষ্ঠিত হল গল্পবৈঠকের ষোড়শতম সাহিত্য বাসর।
মিতালি, একটি উজ্জ্বল প্রয়াস, যার লক্ষ্য নারী ও শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অপুষ্টি থেকে রক্ষা করা, এবং বঞ্চিত শিশুদের সাংস্কৃতিক সচেতনতা বৃদ্ধি।
এঁরা সুন্দর করে মঞ্চ সাজিয়েছিলেন।অতিথিদের আপ্যায়ন এবং মিষ্টি মুখের আয়োজন করেছিলেন, এবং ছোটদের বই পড়ার অভ্যাসকে এগিয়ে নিইয়ে যাবার জন্য , একটি গ্রন্থাগারের উদ্বোধন ও করলেন এই অনুষ্ঠানকে সংগে নিয়েই । গল্প বৈঠকের সদস্য এবং মাননীয় অতিথিরা প্রত্যেকেই কিছু বই উপহার দিয়ে অংশভাক হয়ে রইলেন এই আনন্দের মুহুর্তটির ।
মিতালি-র পক্ষ থেকে একটি উদ্বোধনী সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে সুরু করলেন সমগ্র অনুষ্ঠানটির ।


এরপর গল্প বৈঠকের অন্যতম আয়োজক শ্রীমতী ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় সঞ্চালনার ভার তুলে দিয়েছিলেন সপ্রতিভ মঞ্চশিল্পী, অনুবাদক, এবং সুবক্তা সাহিত্যিক জয়া চৌধুরীর হাতে। জয়া মঞ্চে আহ্বান করে নিলেন, আজকের আলোচক সাহিত্যশিল্পী অতিথিদের।প্রখ্যাত সাহিত্যিক রতনতনু ঘাটি, বিনতা রায়চৌধুরী,বুবুন চট্টোপাধ্যায় এবং মহাশ্বেতা রায়কে মিতালির সদস্যরা মঞ্চে বরণ করে নেবার পর, জয়া চৌধুরী স্ত্রোত্র পাঠের মধ্য দিয়ে শুভারম্ভ করলেন এই বৈঠকি আড্ডার ।
প্রথমেই জনপ্রিয় গল্পকার দীপান্বিতা রায় গল্প পড়লেন । গল্পের নাম, চেনা ঠিকানা । দরিদ্র ট্যাক্সি চালক আনোয়ার, আর তার পরিবারে, অবাঞ্চিত মাতৃহারা কন্যা লক্ষ্মী, কেমন সহজেই আপন হয়ে অকালে নিহত মেয়েটির স্থান পূর্ন করে, জেনে মনে মধ্যে মমতার ঢেউ ওঠে । লেখিকা অনায়াস দক্ষতায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি , মানবিকতা, কন্যা সন্তানের প্রতি আমাদের দায়িত্ব এই সব বড় বড় তত্ত্বকে বক্তৃতার মঞ্চ ঠেকে ঘরের উঠোনে নিয়ে এসেছেন। এই জল রঙে আঁকা ছবিটি বহুকাল মনে থাকবে।


বিখ্যাত সাহিত্যিক, শিশু সাহিত্যের দিকপাল শ্রী রতনতনু ঘাটি আলোচনা করলেন এ গল্পের। তিনি বললেন, এইটেই আজকের রূপ কথা। সত্যি তো  এ আমাদের ঘরের সিন্ডারেলার গল্পই বটে।আরও বললেন, সাহিত্য, বিশেষ শিশু সাহিত্যে মানুষের জয় হওয়া কতোটা জরুরি। শুনতে শুনতে মনে পড়ে গেল, “হোথা মাতৃহারা মা পাইবে চিরদিন---” কলমের জয় হোক ।
এরপরেই জয়া চৌধুরী ডাক দিলেন আমায়। অঙ্কের প্রতি ছোটদের আতঙ্ক, এবং তা কাটানোর জন্য আমার ছেলে মেয়ের সঙ্গে তাদের দাদু দিদার নানান মজার খেলা, সব বাচ্ছাদেরই চেনা লাগে। তাই ছড়ার নাম ছিল, সাত সতেরো । ছোট্ট শ্রোতাদের এক গাল হাসি, মন ভাল করে দিল।

এই ফাঁকে জয়া জানালেন গল্প বৈঠকের গোড়ার কথা। শ্রীমতী ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়, শ্রী অয়ন চৌধুরি, শ্রী নিলয়কান্তি বিশ্বাস কি ভাবে সাহিত্যের আদান প্রদানের জন্যেই গড়ে তুলেছিলেন এই আড্ডা।
গার্গী রায়চৌধুরী জানালেন ২০১২ থেকে মিতালির পথ চলার ইতিহাস।
এরপর জনপ্রিয় এবং রসিক লেখিকা তৃষ্ণা বসাক, কিশোর ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত গল্প রোবোর বাপের শ্রাদ্ধ গল্প ।  ভবিষ্যৎ পৃথিবীতে রোবট সমাজ, মানুষের অভাব, অনুভূতি,প্রকৃতির সংগে আমাদের ক্রমবর্ধমান দূরত্ব কি সাবলীল হাস্যরসে মুড়ে উপহার দিলেন।এবং উপসংহারে  সময় সাঁতারুর ইলিশ আনার ছোঁয়ায় সব বাঙালি মাত।
কিশোর ই-পত্রিকার “ইছামতী”র সম্পাদক, সাহিত্যিক শ্রীমতী মহাশ্বেতা রায়, কল্পবিজ্ঞানের এই গল্পটির বিভিন্ন দিকগুলি ছুঁয়ে, আধুনিক জীবনে প্রযুক্তি ও আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে মনোজ্ঞ মতামত রাখলেন।

এরপর, ছড়াকার হিসেবে এলেন নিবেদিতা ঘোষ মার্জিত। নিবেদিতা তাঁর অননুকরণীয় ভঙ্গীতে ছড়ার ছন্দে ছোটদের জানিয়ে দিলেন, বৃষ্টি হলে ছোট মানুষের কত অসুবিধে। তার কিত কিত খেলা, বাবার জলদি বাড়ি ফেরা, সব ভন্ডুল। খালি অঙ্ক টিউশানির দিন এলে ভারি সুবিধে।
এরপরে মঞ্চে এলেন শ্রীমতী ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় । তাঁর পুরাণ ছোঁয়া সরস রচনা, ভ্রমণ কাহিনী, উপন্যাস, রম্য রচনা বাঙালি পাঠকের বিশেষ পরিচিত।
ছোটদের জন্য তিনি নিয়ে এসেছিলেন গল্প, চিন্তামণি থটশপ। সেই দোকান যেখানে বুড়ো মানুষ চিন্তামণি বাবু, নানান রকম স্বপ্নের ক্রিস্টাল লজেন্সের মত বোয়েমে সাজিয়ে রাখেন। ল্যাবরেটরির বর্ননা, স্ট্যালাগমাইট, স্ট্যালাকটাইটের সৌন্দর্য, গ্লাস রডে গুলে যাওয়া স্বপ্নের রঙ, সব শেষে , অবিশ্বাসীদের থেকে দূরে স্বর্গের স্বপ্ন ছুঁতে চাওয়া একলা চিন্তামণি, সব মিলিয়ে এক সাতরঙা অপরূপ রামধনু। রসায়নবিদ লেখিকা নবরসের বেশির ভাগগুলিকেই সাজিয়ে দিয়েছেন এই আলোময় কাহিনীর মধ্যে।
আলোচনা করতে মঞ্চে সাহিত্যিক, সাংবাদিক বুবুন চট্টোপাধ্যায় তাই অবন ঠাকুর,লীলা মজুমদার এবং মানুষকে জিতিয়ে দেবার প্রসঙ্গ আনলেন। বললেন, “এমন কেন সত্যি হয়না আহা-”
পরবর্তী গল্প পাঠে এলেন বৈঠকের আরেক আয়োজক , সাংবাদিক , সাহিত্যিক অয়ন চৌধুরি । তিনি মনে করিয়ে দিলেন এ দিনটি মাদার টেরিজার পুণ্য জন্ম তিথি, এবং পথের পাঁচালি দিবস ও ।
তাঁর গল্পের নাম; স্বাধীনতা ।অবাঙ্গালি রঘুনাথ কুমারের মাতৃহীন ছেলে চতুর্থ শ্রেণীর ছোটুর ঘুড়ির সুতোর বায়না, তার বাবার জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান , আত্মসচেতন হয়ে ওঠা বাপ ও ছেলে , জীবন্ত হয়ে ওঠে শব্দ বিন্যাসে। অন্যাইয়ের সংগে আপোষ না করার স্বাধীনতা মিলে মিশে যায় ছেলের ইচ্ছেসুখে ঘুড়ি ওড়ানোর স্বাধীনতার সংগে।
আলোচনায় বিখ্যাত লেখিকা বিনতা রায়চৌধুরি প্রথমে বই এবং গ্রন্থাগারের প্রতি ভালবাসার কথা জানালেন। পরে বললেন , গল্পটি বড়দের জন্যেও কত উপযোগী ।
এরপর, জনপ্রিয় কবি সুস্মেলি দত্ত, ছড়া পড়লেন, উলট পুরাণ । ছন্দের জাদু খুশি করে দিল ছোট বড় সবাইকে।

চা সিংগারা সহ জলযোগের বিরতিতে, মিতালির ছোটরা সবার হাতে পৌঁছে দিল গোলাপ ফুল এবং নিজেদের হাতে বানানো অপুর্ব নান্দনিক কার্ড ।তারপর মঞ্চে এল মিতালির পরিশ্রমের ফসল। নীল সাড়ি , সাদা বন্ধনীর সাজে চার কিশোরী যে অপূর্ব মুদ্রা ও নৃত্যশৈলীতে নেচে গেল, “মন মোর মেঘের সঙ্গী –” অনেক খ্যাতিসম্পন্ন নাচের মহলকেও তা হার মানিয়ে দেবে। মুগ্ধ হলাম মিতালির এই কিশোর মানুষদের প্রতি যত্ন দেখে।


এরপর আবার গল্প। প্রতিষ্ঠিত জনপ্রিয় লেখিকা মহুয়া মল্লিক পড়লেন কল্প বিজ্ঞানের গল্প , গ্রিন প্রোজেক্ট ।রোবট অদ্রিজর চোখে মানব জীবন , প্রকৃতি , ভালবাসা , সব কিছুকে ছোঁয়ার আকুলতা, স্নেহের জন্য আর্তি, আমাদের মায়ায় ঢেকে দিল।
আলোচক শ্রী রতনতনু ঘাটি ও প্রশংসা করলেন গল্পটির ।
পরের বার মঞ্চে এলেন অন্যতম রসিক সাহিত্যিক , শ্রী রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ।তাঁর লেখার অনাবিল হাস্যরস এই সময়ের মানুষকে আনন্দে রাখে । আজকের লিমেরিক, “ আর পাগলামি নয়” ও সবার মুখে হাসি ফোটাল।
পরের গল্পকার , মউল পত্রিকার সম্পাদিকা , শ্রীমতী কৃষ্ণা দাস, কল্পবিজ্ঞানের গল্প শোনালেন।ভুন্ডুল আর গ্যামেটের আধ ঘণ্টা , গল্পটির কিছু অংশ পাঠ করে শোনালেন তিনি।
আলোচক মহাশ্বেতা রায়, জোর দিলেন ইংরাজি শব্দ কম ব্যবহারের ওপর, এবং কল্প বিজ্ঞান সব দেশের সাহিত্যেই কত বড় জায়গা নিচ্ছে, সেকথা ও জানালেন তিনি।
নতুন অতিথি তপশ্রী পাল, ছড়া পড়লেন, “ছিল রুমাল হয়ে গেল বেড়াল”।
কাগজ বিলি করা গরিব ছেলে বঙ্কুর জাদুদন্ড পেয়ে দারিদ্রকে হারিয়ে দেওয়ার গল্প ছন্দে গেঁথে শোনালেন তিনি।
সব শেষ গল্পটি এল জনপ্রিয় গল্পকার ভাস্বতী বন্দ্যোপাধ্যায়, আমাদের অপূর্ব এক মিষ্টি গল্পের জলছবিতে ফিরিয়ে নিইয়ে গেলেন মাটির কাছে, শিকড়ের টানে।বাবান ও হাঁসের ছানা – গল্পটি মুগ্ধ করল ছোট বড় সবাইকে। সহজ ভাষায় প্রকৃতি জীবন সব ধরা পড়ল তুলিতে আঁকা ছবির মত গদ্যে।
বুবুন চট্টোপাধ্যায় আলোচনায় বললেন এ গল্পের মাটির গন্ধ, মরমী দৃষ্টিভঙ্গীর কথা।
এরপর উপস্থিত সকলে নতুন লাইব্রেরীটির জন্য কিছু বই দিলেন। এবং কচিকাঁচাদের হাতে বই তুলে দিয়ে লাইব্রেরীর উদ্বোধন করলেন মাননীয় শিশু সাহিত্যিক রতনতনু ঘাটি।
শেষে অতিথি সাহিত্যিক শ্রী রতনতনু ঘাটি শোনালেন তাঁর মফস্বল ঠেকে এসে কলকাতা শহরের স্বপ্নের ফেরিওয়ালা হয়ে ওঠার গল্প।
মিতালির মিষ্টিমুখের আয়োজন সমাপ্ত করল এই সুন্দর সাহিত্য সন্ধ্যাকে।   



প্রতিবেদন লিখেছেন সোনালী

বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৭

" রিয়েল ভার্সেস ডিজিটাল আড্ডা " এই বিষয়ে কি মত তোমাদের?

সেদিন হঠাত মনে পড়ে গেল আমাদের পুরোণো বাড়ির দালানে বসে একজোট হয়ে তুতো ভাই বোনেদের সঙ্গে জমিয়ে কাঁকড়ার ঝাল দিয়ে ভাত খাওয়ার কথা। কাঁকড়ার সুস্বাদু দাঁড়া চিবোতে চিবোতে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে যেত। হাতের এঁটো হাতেই শুকিয়ে যেত তবু যেন আড্ডা ফুরতো না। কিসের এত আড্ডাই বা ছিল? কেন ই বা এত গল্প জমে থাকতো জানিনা বাপু। একটা কারণ অবিশ্যি নিয়মিত দেখা না হওয়া। সকলেই ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় থাকতাম। কোনো এক ছুটির দিনে একজোট হয়ে খাওয়াদাওয়া, হৈ হুল্লোড়ে মেতে উঠতাম সকলে মিলে। মাংসের হাড় নিয়েও কাঁকড়ার মত অবস্থা হত আমাদের। আর খাওয়ার পর হাত চাটা যেন শেষ ই হত না। চাটনীতে আঙুল ডুবিয়েই চলেছি আর গল্পের গোরু গাছে উঠে আমাদের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে। তখন কি আর জানি বাপু যে এই আড্ডা গিয়ে থমকে যাবে একদিন? এই গোলগল্প গুলো আছাড় খাবে  ফেসবুকের চৌকাঠে? তাহলে আরেকটু নাহয় আড্ডা দেওয়া যেত। ঠিক তেমনি মনে পড়ে কলেজ কেটে কফিহাউসের আড্ডার কথা। কবিতায় কথালাপ, হেঁয়ালির ছটা, মজার জোকস বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নেবার আনন্দ। এই বাস্তব আড্ডার ঠেক এখন সোশ্যালনেটের এক চিলতে নীল অলিন্দ। আর সেখানে নিজের চেনা পরিচিত তুতো ভাইবোনরা যেমন আছে, আছে স্কুল কলেজের বন্ধুরা আর আছেন অপরিচিত কিছু বন্ধুবান্ধব ও। তবে তথাকথিত আড্ডার বাতাবরণ কি মেলে এই ডিজিটাল গল্পের আড্ডাখানায়? সেখানে কি সম্পর্কের বেড়াজাল পেরিয়ে আলাপচারিতা ধাক্কা খায়? না কি  সম্পর্কের টানাপোড়েন কে উপেক্ষা করে নিমেষেই উবে যায় কর্পূরের মত। অথচ ফেসবুকের মত প্ল্যাটফর্মে কোটি কোটি মানুষ অহোরাত্র আড্ডা দিয়েই চলেছেন। 

তাহলে কি দাঁড়াল? 

হাতের মুঠোয় স্মার্টফোন অথবা ল্যাপটপে কিম্বা ট্যাবের চ্যাটালাপই টিঁকে থাকবে? আর  মুখোমুখি বসে বাস্তব আড্ডাগুলো হারিয়ে যাবে সুপর্ণকান্তি ঘোষের সেই অমোঘ লিরিক্সের মধ্যে দিয়েই?  "কফিহাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই, আজ আর নেই " বলে আমরা স্কাইপে, হোয়াটস্যাপে, ফেসবুকে চেঁচাতেই থাকব? 

এ বারান্দা থেকে ও বারান্দায় কাপড় তুলতে তুলতে কিম্বা শীতের রোদে বড়ি দিতে দিতে, অথবা ছাদে চুল শুকোতে গিয়ে কেউ কারোর মুখও দেখব না আর জিগেসও করব না? কেমন আছো গো? আজ কি রান্না হল তোমার হেঁশেলে? অথবা চলো না ঐ সিনেমার টিকিটটা কাটি।  
রোয়াকের আড্ডাও অপ্রতুল এখন। নেই সে রোয়াক ওলা বাড়ি, নেই সেই আড্ডাবাজ তরুণ তুর্কীরা। তা অবিশ্যি ভালোই একদিক থেকে। তরুণেরা কাজে ডুবে থাকাটা দেশের পক্ষে মঙ্গলজনক। আর যে তরুণরা এখনো বেকার হয়ে ফ্যা ফ্যা করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে জটলা করে তারা কি বোঝে সোশ্যালনেটের মাহাত্ম্য? অগত্যা রাস্তাই ভরসা তাদের আড্ডা দেবার জন্য। কিন্তু সেটাও তো ঠিক নয়। নব্য প্রযুক্তির কাছে আবালবৃদ্ধবণিতা যখন হার মানেনি তারাই বা কেন স্মার্টফোন খুলে ফেসবুকে বন্ধুর মুখ দেখবে না? সেটা বরং ক্ষতিকর সমাজের পক্ষে। 

কি মনে করছে লোকজন? ব্যাঙের ছাতার মত কফির ক্যাফে হয়েছে আজকাল। তবুও সেখানে গিয়ে বন্ধুরা জমায়েত হয়ে নিজের নিজের স্মার্ট ফোন খুলে ফেসবুক খুলে বসে আছে। অথবা হোয়াটস্যাপে আলাপ চালিয়েই যাচ্ছে। কফির পেয়ালা পানতা হয়ে যাচ্ছে। বেয়ারা বিল মিটিয়ে চলে যাচ্ছে কিন্তু প্রকৃত আড্ডা যেন মুখ লুকোচ্ছে সেখানেও ।
সেই নিয়েই পক্ষে ও বিপক্ষে অলোচনা হোক! জমে উঠুক শারদীয়া চক্র বৈঠক ! কমেন্ট বক্সে লেখা পোস্ট করুন!