মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

গল্প বৈঠক ৩৭ @ পান্ডুয়া


কোনও কোনও দিন হঠাৎ করেই বিশেষ হয়ে ওঠে। এমনই এক বিশেষ দিন ছিল গত ২৫শে জানুয়ারি। 'গল্পবৈঠক 'ও  পান্ডুয়ার ' গ্রাহম বেল সেন্টার ফর ডেফ' এর উদ্যোগে মিলিত হল সাহিত্যের সাথে সমাজ ও জীবনযুদ্ধের গল্প । এই গল্পে নেই কোনও পরাজিত মানুষের কাহিনি। গল্পবৈঠকের ৩৭তম আসরে দশজন গল্পকার অরিন্দম গোস্বামী, কাকলী দেবনাথ, সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায়, ইন্দিরা মুখোপধ্যায়, মৌসুমী ঘোষ, ইন্দ্রনীল বক্সী, রাজেশ কুমার এবং রুমকি রায় দত্ত ছাড়াও হাজির ছিলেন দুই খুদে গল্পকার  অনন্বয় গোস্বামী এবং শ্রীপর্ণা  ঘোষ । সবাই স্বরচিত কিশোর গল্প পাঠ করে শোনালেন মূক ও বধির ছাত্রদের । প্রায় অসম্ভব এই অভিনব প্রয়াসকে সম্ভব করে তুললেন, সংস্থার সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ শিক্ষক শান্তনু পাত্র। তিনি গ্রাহম বেল সেন্টারের একজন সক্রিয় কর্মী। এই প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে প্রতিবন্ধী, মূক ও বধির শিশুদের সমাজের মূলস্রোতে রেখে স্বনির্ভর করে তোলার কাজে নিয়োজিত।
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় ছোট্ট শিল্পী অনুরাগ রায়ের সুচারু সঙ্গীত পরিবেশনা দিয়ে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন রুমকি রায় দত্ত।
অনুষ্ঠানের অন্য বিশেষ আকর্ষণ ছিল 'নির্বাক' গ্রুপের মূকাভিনয়। শিল্পীরা প্রত্যেকেই মূক ও বধির । সুরজিৎ অধিকারী, প্রসেনজিৎ হাজরা, বিপুল বৈরাগী, সুরজিৎ সরেন, এই চারজন শিল্পীদের সাবলীল অভিনয় মুগ্ধ করে উপস্থিত সকলকে। অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয় বধির ছাত্রদের সাইন ল্যাঙ্গুয়েজে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনে। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে উত্তম মধ্যাহ্ন ভোজনের ব্যাবস্থাও ছিল সাহিত্যিকদের জন্য।



সঞ্চালক, গল্পকার রুমকি রায় দত্ত 

প্রতিবেদনেঃ রুমকি রায় দত্ত 

২টি মন্তব্য:

  1. অত্যন্ত ভালো আয়োজন ছিলো । এইসব ছেলেমেয়েদের কাছে নিজেদের গল্প শোনাতে পারবো , সত্যিই কখনও ভাবিনি । গল্প এভাবেই পৌঁছে যাক - সব সীমান্ত পেরিয়ে নতুন নতুন মানুষের কাছে ! 👍

    উত্তরমুছুন
  2. একটা মুল্যবান অভিজ্ঞতা হলো একটি সুন্দর পরিবেশে। রুমকি দত্ত রায় ও গল্পবৈঠককে ধন্যবাদ।

    উত্তরমুছুন