![]() |
ছবি এঁকেছেন মহাশ্বেতা রায় |
বাংলা সাহিত্যের উপরে নেমে আসা সমস্ত অশুভ ছায়ার মুখে ছাই দিয়ে টিকে থাকুক গল্প বৈঠক এই ছিল এই দিনের স্লোগান। গল্প বৈঠক কি? কেন এই উদ্যোগ নেওয়া হল, কারা গল্প বৈঠক তৈরিতে অগ্রণী ভুমিকা নিয়েছিলেন, কারাই বা যুক্ত আছেন এর সঙ্গে, কোথায় কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছে গল্প বৈঠক, কারা ছিলেন সেই সব বৈঠকে তার সমস্ত বিবরন পাওয়া যাবে ওয়েবসাইট টিতে। জানা যাবে আগামীর কথাও। সপ্তম গল্প বৈঠকের সূচনা হল জয়া চৌধুরীর সংস্কৃত শ্লোক উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে। বৈঠকে সেদিনের অতিথি ছিলেন গল্পকার ভাস্বতী ব্যানারজী । তিনি পাঠ করলেন তার ‘প্রতিবেশী’ নামক ছোট গল্পটি। অত্যন্ত সংবেদনশীল এই গল্পটি এদিন সবার মন ছুঁয়েছিল। ভাস্বতীর পর মহাশ্বেতা রায়, পেশায় ওয়েব ডিজাইনার ও ছোটদের ই-পত্রিকা ইচ্ছামতীর সম্পাদক মহাশ্বেতা বুনেছিলেন তার ‘সিন্থিয়া’ অনুগল্প টি। অত্যাচারীর নগ্ন ক্ষমতা প্রদর্শনের ফল কি হতে পারে তার বিবরণ দিয়েছিল ‘সিন্থিয়া’। মহাশ্বেতার পর দক্ষ গল্পকার নিবেদিতা মার্জিত। তার গল্পের ভক্ত না হয়ে উপায় থাকে না কোন। ছয় লাইনের গল্প ‘খুব রাগ করবে’ তে ফুটিয়ে তুললেন কিশোর প্রেমের এক অনবদ্য ছবি। এরপর অধ্যাপক কৃষ্ণা রায়, সম্পূর্ণ অন্য বিষয়, বৃদ্ধ বয়সের বাসনার এক গভীর মনসতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ ধরা পরল তার ‘ঘ্রাণ’ অনুগল্প টিতে। স্যাটায়ারের রাজা পেশায় আর্কিটেক্ট শ্রী রজত শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নেরু দা ও বাগধারা’ মাতিয়ে দিল আসর। হাসির জোয়ারে ভাসতে ভাসতে বৈঠক পৌঁছে গেল স্কুল শিক্ষিকা পূর্বা মুখোপাধ্যায়ের গল্প ‘লাইক-টাইক’এ। হাল্কা চালে পূর্বা মেলে ধরলেন সোশাল মিডিয়ার তৈরি করা এক বিষাদ কাহিনী। বাঙালির যে কোন চর্চাই পেট পূজো ছাড়া অসম্পূর্ণ। হোস্ট শাশ্বতী ও তার স্বামী যতীন বাবু সকলের সুবিধার্থে রাশি রাশি সুখাদ্য পরিবেশনের দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছিলেন। আমরাও ‘আর না, আর না’ বলে চালিয়ে গেলাম সকলেই। ওয়েবসাইট এর উদ্বোধন হয়েছে তাই এক ফাকে কেক কাটাও বাদ গেল না। উপরি পাওনা ছিল গৃহ কর্তা যতীন বাবুর উদ্দেশ্যে ইন্দিরা দির একটি নিবেদন। যতীন বাবুর নামটি শুনে থেকে বঙ্গ জীবনের অলিন্দে লুকিয়ে থাকা সমস্ত যতীনেরা ইন্দিরা দির মনের মধ্যে উকি ঝুকি মেরে যত দুদিন যাবত তার জীবন কিভাবে যতীন ময় করে তুলেছিল সেই গল্প বললেন তিনি। হাসিতে পেট ফেটে যাওয়ার জোগাড়, উপস্থিত যতীন বাবু লজ্জায় লাল। কিছু করার নেই কে না জানে ক্রিয়েটিভ লোকজন একটু পাগল হয়। সজ্জন যতীন বাবু ক্যামেরার আড়ালে লুকিয়ে বাঁচলেন। সারাক্ষণ বৈঠকের ছবি তুলে গেলেন তিনি ও তার দুই মেয়ে শ্রীরুপা ও শ্রীতমা।
![]() |
ছবি তুলেছে শ্রীতমা ও শ্রীরূপা |
পূর্বার গল্পের পর এই অধম গার্গী রায় চৌধুরীর অনুগল্প ‘চেয়ার’, সেক্টর ফাইভের টেঁকি অতনু প্রজ্ঞ্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প ‘জামওয়ালি’, চিকিৎসক সোনালি মুখোপাধ্যায়ের অনুগল্প ‘অনায়াস’, লেখিকা ইন্দিরাদির ‘মেটামরফোসিস’, বুবুন চট্টোপাধ্যায়ের ‘মিসড কল’ ও শাশ্বতীর গল্প "আত্মরতি" পরিবেশিত হল। প্রতিটি গল্পেই ছিল বিষয়ের বিচিত্রতা। স্প্যানিশ অনুবাদক জয়া পড়ল স্প্যানিশ থেকে অনূদিত গল্প ‘আমার প্রতিবিম্ব’। তিন ঘন্টা কেটে গেল আনন্দে, মনন চর্চায় ও পারস্পরিক আন্তরিকতায়। এইদিন গল্প বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি যে সব সাহিত্যিক বন্ধুরা তাদের কথাও উঁকি মেরে গেছে এদিনের বৈঠকে কোন না কোন লেখক বন্ধুর কথায়। উপস্থিত অনুপস্থিত সবাই কে নিয়ে তাই পরিপূর্ণ ছিল সপ্তম গল্প বৈঠক।
গার্গী রায় চৌধুরী
সুন্দর
উত্তরমুছুনkhub anondo holo. sedin.gargi tumi eto valo likhecho.....oi diner ktha vablei....boddo mon valo hoy
উত্তরমুছুন